WELCOME TO EMS ALL INFORMATION BD
বাঁচতে হলে জানতে হবে। তাই পড়ুন আর জেনে নিন নানা অজানা তথ্য




 

Unknown Unknown Author
Title: শিশুর নিরাপদ ঘর
Author: Unknown
Rating 5 of 5 Des:
শিশুর নিরাপদ ঘর ঘরের ছোট্ট শিশুর পেছন পেছন মায়ের চলে সারাদিন পাহারা। নতুন হাঁটতে শিখেছে ছোট্ট শিশুটি । চেয়ারের হাতল, টেবিল, খাট কিংবা...

শিশুর নিরাপদ ঘর
ঘরের ছোট্ট শিশুর পেছন পেছন মায়ের চলে সারাদিন পাহারা। নতুন হাঁটতে শিখেছে ছোট্ট শিশুটি । চেয়ারের হাতল, টেবিল, খাট কিংবা দেয়াল ধরে ধরে ঘরময় হেঁটে চলে সে অবিরাম। এমন করে হাঁটতে গিয়ে কাঠের চেয়ার নিয়েই পড়ে গিয়ে ঘটে যায় নানা দুর্ঘটনা। শিশুরা নিজের বিপদের সম্ভাবনা সে অনুভব করতে পারে না। জ্বলন্ত- আগুনকে তার ছুঁয়ে দেখার কৌতূহল, যে কোনো অখাদ্য মুখে দিয়ে স্বাদ গ্রহণ করার প্রবণতা তাকে তাড়িয়ে বেড়ায়। শখ করে নতুন হাঁটতে শেখা শিশুকে নতুন জুতা কিনে দিয়ে তার টুকটুক করে হাঁটা দেখতে দেখতেও পড়ে গিয়ে শিশুর দুর্ঘটনা হতে পারে। কিংবা বেশি ঝুলের পোশাক পায়ের নিচে আটকে গিয়ে নতুন দাঁতে জিভ কেটে যেতে পারে। কোনো পূর্বাভাস ছাড়াই একটি শিশু দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে তার চেনাজানা আপন ঘরেই। তাই চেষ্টা করলে শিশুর জন্য নিরাপদ ঘর একটু সচেতন হয়েই আমরা সাজাতে পারি। যদিও সাবধানতার শেষ নেই। তবুও যতটা পারা যায় ততটাই করি না কেন।
শিশুর নিরাপদ ঘরের কিছু বৈশিষ্ট থাকা উচিত:
  • শিশুর ঘরের আসবাবগুলো যেন খুব বেশি উঁচু না হয়। হাঁটতে শেখা শিশু যেন সহজেই বিছানায় ওঠানামা করতে পারে, এমনটা হওয়া উচিত।
  • শিশুর বিছানায় কখনোই অতিরিক্ত বালিশ, লেপ ও কম্বল জড়ো করে রাখবেন না। খেলার ছলে কিংবা ঘুমের মধ্যেও শিশু এসবের নিচে চাপা পড়তে পারে।
  • মুখে ঢুকে যেতে পারে আকারে ছোট এমন খেলনা বাচ্চাদের থেকে দূরে রাখুন। মার্বেল, কয়েন এমন কোনো শক্ত পদার্থ শিশু যেন হাতের কাছে না পায়।
  • যে কোনো ধরনের ওষুধ, কাঁচি, ব্লেড, সুঁচ আলপিন জাতীয় ধারালো জিনিস শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
  • গোসলখানা, রান্নাঘরের দরজা কাজ শেষে সব সময় বন্ধ করে রাখুন।
  • ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি ও ধারালো জিনিস শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন। বৈদ্যুতিক তার যত্রতত্র যেন ছড়িয়ে-ছিটিয়ে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
  • ড্রেসিং টেবিলের ওপর খোলা জায়গায় বডি স্প্রে, লোশন, হেয়ার স্প্রের মতো কসমেটিক আইটেম সাজিয়ে রাখবেন না। শিশু না বুঝে স্প্রে করে চোখেমুখে দিয়ে ফেলতে পারে।
  • কাচের শোপিস, ধারালো তৈজসপত্র শিশুদের কাছ থেকে দূরে রাখুন।
  • সম্ভব হলে শিশুদের সঙ্গে সময় কাটানোর মতো একজন মানুষ সর্বক্ষণিক রাখতে চেষ্টা করুন।

Advertisement

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মতামত আমাদের কাছে অনেক মুল্যবান,তাই মুল্যবান মতামত আমাদের কে জানান

 
Top