মানুষ অনেক সময় সন্তান ধারন রোধ করতে চায়৷ অনাকাঙ্ক্ষিত সন্তানধারন প্রতিরোধ করার জন্য মানুষের চেষ্টার অন্তনেই৷ ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু নির্গমন বন্ধ করে, টিউব কেটে বা বেঁধে ডিম্বাণুর অগ্রগতি রোধ করে, অভ্যন্তরে উপকরন পরিয়ে জরায়ুতে ডিম্বাণু গ্রন্থনা প্রতিরোধ করে এবং জেলি, ক্রিম ও ডায়াফ্রামের সাহায্যে শুক্রাণুর প্রতিরোধ করার মাধ্যমে নানা ভাবে সন্তান ধারন রোধ করা যায়৷ যেকোনো পদ্ধতিই বেছে নিন না কেন তা নেয়ার আগে অন্তত কোনো স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ বা চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া ভালো৷
পরিবার পরিকল্পনা :
পরিবার পরিকল্পনা হল সঠিক সময় সন্তান নেবার পরিকল্পনা এবং জন্মনিয়ন্ত্রন ও অন্যান্য পদ্ধতির যথাযত প্রয়োগ নিশ্চিত করন। অন্যান্য পদ্ধতির মধ্যে যৌন শিক্ষা, যৌনসংক্রামক সমুহের নির্গমন প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা। পরিবার পরিকল্পনাকে অনেক সময় জন্মনিয়ন্ত্রনের সমার্থক হিসেবে চিহ্ণিত করা হয় যদিও পরিবার পরিকল্পনার পরিধি আর ও বিশদ। এটা সাধারনত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে করা হয় যারা তাদের সন্তান সংখ্যা নিয়ন্ত্রিত রাখতে চায় এবং তাদের প্রত্যাশিত সময় গর্ভধারন করতে চায়।
পরিবার পরিকল্পনার লাভ ও সুবিধা
শারীরিক লাভ :
মাতৃত্ব সংক্রান্ত কারণে মেয়েদের মৃত্যুর হার কমিয়ে দেয়৷ ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে একটি বা দুটি সন্তান হলে মায়ের ক্ষতি হওয়ার ভয় প্রায় থাকে না৷ দেখা গেছে, সাধারনত মায়ের ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে যে শিশু জণ্মায় তারা বেশি মেধাবী হয়ে থাকে৷
মায়ের স্বাস্থ্য রক্ষা :
অ্যানিমিয়া, সন্তান হওয়ার পর খুব বেশি রক্তস্রাব, অপুষ্টি, প্রস্রাবনালীতে সংক্রমন, সাদাস্রাব, জরায়ুর মুখের ক্যান্সার, নাড়ি বা জরায়ু বেরিয়ে আসা ইত্যাদি রোগ গুলো পরিবার পরিকল্পনার দ্বারা সুন্দর ভাবে এড়ানো সম্ভব৷
শিশু মৃত্যুর হার কমে যায় :
আমাদের দেশে এক বছরের কম বয়সের শিশু মৃত্যুর হার খুব বেশি৷ কিন্তু ঠিকমতো গর্ভনিরোধক ব্যবস্থা নিয়ে দুটি সন্তানের মধ্যে অন্তত পক্ষে তিন বছরের ব্যবধান রাখলে মৃত্যুর হার অনেক কমানো সম্ভব৷
শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষা :
রুগ্ন শিশুর জন্ম কমে যাবে৷ জন্মগত ত্রুটি নিয়ে কম শিশু জণ্মাবে৷ বাচ্চারা অনেক সুস্থ ও প্রান চঞ্চল থাকবে৷
অর্থনৈতিক লাভ :
স্বাভাবিক ভাবেই পরিবার অনেক ভালোভাবে চলবে৷ খাবার, থাকার জায়গা, শিক্ষা সবকিছুই একটি বা দুটি সন্তান হলে যেভাবে দেওয়া যাবে, অনেক গুলো হলে তেমন ভাবে সম্ভব নয় ।
আদর্শ জন্মনিয়ন্ত্রন পদ্ধতি সমূহে নিম্নোক্ত সুবিধা গুলো থাকা প্রয়োজন :
- পুরোপুরি কার্যকর হবে
- নির্ভরযোগ্য এবং কোনো ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন
- সর্বসাধারন দ্বারা গৃহীত
- স্বল্পমূল্য হওয়া উচিৎ এবং সহজলভ্য হওয়া উচিৎ
- সহজে ব্যবহার যোগ্য
- স্বাস্থ্য কর্মী বা হাসপাতাল নির্ভরতা যত কম হবে ততো ভালো
পরিবার পরিকল্পনার কিছু পদ্ধতি
নিম্নে পরিবার পরিকল্পনার কিছু পদ্ধতি :
- কনডম
- জন্ম নিয়ন্ত্রণে খাওয়ার বড়ি
- ইন্ট্রাইউটেরাইন কন্ট্রাসেপটিভ ডিভাইস
- নরপ্লান্ট
- হরমোন ইনজেকশন
- ভ্যাসেকটমি
- লাইগেশন
- প্রাকৃতিক উপায়ে জন্ম নিয়ন্ত্রন
যেসকল উপকরন বা যার মাধ্যমে গর্ভ সঞ্চারে বাধা প্রদান করা যায়, সেই সব উপকরন বা মাধ্যমকে জন্মনিয়ন্ত্রন পদ্ধতি বলে। নারী ও পুরুষের ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন প্রকার জন্মনিয়ন্ত্রন পদ্ধতি রয়েছে।
জন্মনিয়ন্ত্রন পদ্ধতির প্রকারভেদ :
জন্মনিয়ন্ত্রন পদ্ধতি গুলোকে প্রধানত: দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:
ক) সনাতন পদ্ধতি
খ) আধুনিকপদ্ধতি
ক) সনাতনপদ্ধতিঃ
যে পদ্ধতি পরিবারের সদস্য সংখ্যা নিয়ন্ত্রনে ঐতিহ্যগত ভাবে সমাজে প্রচলিত আছে সেগুলোকে সনাতন পদ্ধতি বলে। যেমন
- প্রত্যাহার বা আযলঃ স্বামীর বীর্য বাইরে ফেলা
- বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানো
- নিরাপদকাল মেনে চলা
- নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সহবাস থেকে বিরত থাকা বা আত্মসংযম।
খ) আধুনিকপদ্ধতিঃ
আধুনিক পদ্ধতিকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন:
১) নন-ক্লিনিক্যাল এবং
২) ক্লিনিক্যাল পদ্ধতি।
১) নন-ক্লিনিক্যাল:
যে পদ্ধতি গুলো অন্যের সাহায্য ছাড়া নারী-পুরুষ নিজেই ব্যবহার করতে পারে সেগুলোকে নন-ক্লিনিক্যাল পদ্ধতি বলে। যেমনঃ
২) ক্লিনিক্যাল:
যে পদ্ধতি গুলো ব্যবহারের জন্য নারী-পুরষকে প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত সেবাদানকারীর সাহায্য নিতে হয় সেগুলোকে ক্লিনিক্যাল পদ্ধতি বলে। যেমন: অস্থায়ীপদ্ধতি এবং স্থায়ী পদ্ধতি ।
অস্থায়ী পদ্ধতি
- ইনজেকশন
- আই.ইউ.ডি
- নরপ্ল্যান্ট
স্থায়ীপদ্ধতি
- পুরুষ বন্ধ্যাকরন - ভ্যাসেকটমী
- নারী বন্ধ্যাকরন – টিউবেকটমি বা লাইগেশন
খাবার বড়ির প্রকার, মাত্রা, কার্যপদ্ধতি এবং সুবিধা, অসুবিধা :
খাবার বড়ির প্রকার ও মাত্রা :
জন্মনিয়ন্ত্রনের জন্য বিভিন্ন প্রকারের খাবার বড়ি পাওয়া যায়। যেমন: নরকোয়েস্ট, ওভাষ্ট্যাট, ওভাকন, মারভেলন, সি-৫, সুখী (স্বল্পমাত্রার বড়ি)। প্রত্যেক প্রকার বড়িতে হরমোনের মাত্রার পার্থক্য থাকতে পারে।
কার্যপদ্ধতি
ডিম্বাশয়ের ডিম্বকে পরিপক্ক হতে ও বের হতে বাধা দেয় ।
সুবিধা :
- সাফল্যের হার বেশী
- অনাকাঙ্খিত গর্ভসঞ্চার খুবই কম হয়
- অতিরিক্ত সতর্কতা ছাড়া যৌন সহবাস করা যায়
- মাসিক নিয়মিত হয়
- মাসিকের রক্তস্রাব কম হয়। মাসিকের ব্যাথা থাকলে তা কমে যায়
- নিয়মিত বড়ি খাওয়ার ফলে অনেক মহিলার স্বাস্থ্য ভাল হয়
- আয়রন বড়ির জন্য রক্তস্বল্পতা কম হয়
- ডিম্বাশয় ও জরাযু ঝিল্লিতে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। পি.আই.ডি (পেলভিসেরসংক্রমন) কম হয়
- বড়ি খাওয়া বন্ধ করলে গর্ভধারন করা যায়
অসুবিধা :
- প্রতিদিন মনে করে খেতে হয়
- যারা ধূমপান করে তাদের বেশী জটিল তা দেখা দেয়
- টিউমার বা জন্ডিস থাকলে ব্যবহার করা যাবে না। মাসিকের পরিবর্তন ঘটতে পারে
- ওজন বেড়ে যেতে পারে
- মেজাজ খিটখিটে হয়
- পদ্ধতি বন্ধ করে দেওয়ার পর গর্ভধারণে দেরী হতে পারে
- এইচআইভি/এইডস প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রে কোন ভূমিকা নাই
কার্যকারীতা :
সাফল্যের হার বেশী। অনাকাংখিত গর্ভসঞ্চার খুবই কম হয় ।
কনডমের কার্য পদ্ধতি, সুবিধা, অসুবিধা এবং কার্যকরীতা :
কনডম রাবারের দ্বারা তৈরি চোঙ্গার মতো যার একদিক খোলা এবং একদিক বন্ধ বোঁটার মতো। এটি পুরুষের যৌনাঙ্গে পরতে হয়। বিভিন্ন নামে কনডম পাওয়া যায়। যেমন রাজা, সুলতান, প্যানথার, ম্যাজিষ্টিক, সেনসেশন।
কার্যপদ্ধতি :
সহবাসের সময় পুরুষাঙ্গে কনডম ব্যবহারের ফলে শুক্রকীট নারীর জরাযুতে প্রবেশ করতে পারে না। ফলে শুক্রকীট ডিম্বানুর সংস্পর্শে আসতে পারেনা বলে নারী গর্ভবতী হয় না ।
সুবিধা :
- যে কোন পুরুষ ব্যবহার করতে পারে
- কোন ডাক্তারের সহযোগীতা লাগেনা
- কনডম বেশ সস্তা এবং সব জায়গায় কিনতে পাওয়া যায়
- এইচআইভি/এইডস সহ নানা রকম যৌন রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়
- যৌন সহবাস দীর্ঘায়িত হয়
- জন্মনিয়ন্ত্রনে পুরুষকে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়
অসুবিধা :
- প্রত্যেক সহবাসে ব্যবহার করতে হয়
- দু'জন সঙ্গীরই যথেষ্ট সহযোগিতা থাকা দরকার
কার্যকারীতা :
প্রতিবার সঠিক নিয়মে কনডম ব্যবহার করলে ৮৮% ভাগ পর্যন্ত কার্যকর হয়। শুক্র কীটনাশক ফেনা বড়ির সাথে ব্যবহার করলে প্রায় ৯৯% ভাগ পর্যন্ত কার্যকর হতে পারে।
ইনজেকশনের কার্যপদ্ধতি, সুবিধা, অসুবিধা ও কার্যকরীতা :
ইনজেকশন ২ প্রকার- সাদা রং এর দ্রবীভূত জলীয় পদার্থ, ১ ডোজ ১ টিভায়েলে থাকে ।
কার্যপদ্ধতি :
- জরায়ুর মুখে শ্লেষ্মা তৈরী করে ফলে পুরুষের শুক্রকীট জরাযুতে ঢুকতে পারে না
- ডিম্বাশয়ের ডিম্বকে পরিপক্ক হতে ও বের হতে বাধা দেয়
- জরায়ুর ভিতরের গায়ে ঝিল্লীর পরিবর্তন করে, ফলে ডিম্ব জরায়ুতে বসতে পারে না
সুবিধা :
- নিরাপদ ও কার্যকর পদ্ধতি
- ব্যবহার বিধি সহজ (৩মাসের জন্য)
- রক্ত জমাট বাধার সমস্যা দেখা যায় না
- সহবাসের সাথে সম্পর্ক নাই
- গোপনীয়তা রক্ষা করে নেয়া যায়
- বন্ধ করলে গর্ভধারন করা যায়
- প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মী দিতে পারে
- শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর মাঝেও নেয়া যায়
অসুবিধা :
- অনেকের ইনজেকশন নেয়ার ক্ষেত্রে ভয় থাকে
- নিজে নেওয়া যায় না
কার্যকরীতা :
অত্যন্ত কার্যকরী প্রায় ১০০% ভাগ এবং নিরাপদ জন্মনিরোধক পদ্ধতি ।
আইইউডি বা কপারটির সুবিধা , অসুবিধা ও কার্যকরীতা :
আইইউডি Intra Uterine Device (IUD) জরায়ুর ভেতরে ব্যবহারের জন্য একটি জিনিস যা জন্মনিয়ন্ত্রন করে । অনেক উন্নত ধরণের আইইউডি পদ্ধতি আবিষ্কার হয়েছে। বর্তমানে কপার-টি সবচাইতে জনপ্রিয়।
সুবিধা :
- ব্যবহার করা সহজ
- প্রতিদিন মনে করতে হয় না
- যৌন সঙ্গমে বাধা সৃষ্টি করেনা
- বুকের দুধ কমেনা
- যেকোন সময় খুলে ফেলা যায়
- খুলে ফেলার পর গর্ভধারনের ক্ষমতা ফিরে আসে
- কম খরচে বহু দিন জন্মনিরোধ করা যায়
অসুবিধা:
কার্যকারীতা :
খুব বেশী কার্যকরী (৯৪-৯৮%) একটি সহজ ও দীর্ঘমেয়াদী অস্থায়ী পদ্ধতি ।
নরপ্ল্যান্টের কার্যপদ্ধতি, সুবিধা, অসুবিধা, কার্যকারীতা :
বর্তমানে একপ্রকার ৬ টি ক্যাপসূলে ১ ডোজ পাওয়া যায়।
কার্যপদ্ধতি :
এই পদ্ধতিতে ছয়টি ছোটছোট নরম চিকন ক্যাপসূল (দেয়াশলাই-এর কাঠির চেয়ে ছোট) মহিলাদের হাতের কনুইয়ের উপরে ভিতরের দিকে চামড়ার নিচে ঢুকিয়ে দেয়া হয়।
সুবিধা :
- পদ্ধতিটি ৫ বছরের জন্য কার্যকর,
- পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কম,
- যেকোন সময় ডাক্তারের কাছে গিয়ে খোলা যায়।
অসুবিধা :
- নিয়মিত মাসিক না হওয়া বা অনেক দিন বন্ধ থাকে।
- মাসিক বন্ধ হলে গর্ভসঞ্চার হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হতে হবে।
- মাসিকের সময় রক্তস্রাব বেশী হতে পারে।
- দুই মাসিকের মধ্যবর্তী সময়ে ফোঁটাফোঁটা রক্তস্রাব হতে পারে।
- মাথা ব্যথা।
- ওজন বেড়ে যাওয়া।
- মন বিষন্ন থাকা।
- মুখে বা শরীরে মেছতার দাগ থাকলে বেড়ে যেতে পারে এবং মুখে লোম দেখা দিতে পারে।
কার্যকারীতা :
এটি একটি সহজ, নিরাপদ ও কার্যকর পদ্ধতি।
পুরুষ বন্ধ্যাকরন বা ভ্যাসেকটমির সুবিধা, অসুবিধা ও কার্যকরীতা :
ভ্যাসেকটমি বা পুরুষ বন্ধ্যাকরন পুরুষদের জন্ম নিয়ন্ত্রণের স্থায়ীপদ্ধতি। এতে শুক্রকীট বাহী নালী দুটির কিছু অংশ বেঁধে কেটে দেয়া হয়।
সুবিধা :
- অনিচ্ছাকৃত গর্ভধারণের ভয় না থাকায় সহবাসে আনন্দ বাড়ার সম্ভাবনা থাকে।
- তেমন কোন পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া নেই।
- আর কোন পদ্ধতি গ্রহণের ঝামেলা থাকে না।
অসুবিধা :
যেহেতু স্থায়ীপদ্ধতি পরবর্তীতে সন্তান চাইলেও তাপ্রায় অসম্ভব।
কার্যকরীতা :
স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রন পদ্ধতি। প্রায় ১০০% ভাগ কার্যকরী।
নারী বন্ধ্যাকরন-টিউবেকটমি/ লাইগেশন :
খুব ছোট অপারেশনের মাধ্যমে মহিলারে প্রজনন ক্ষমতাকে স্থায়ী ভাবে বন্ধ করাই হচ্ছে ডিম্ববাহী নালী। জরায়ুর দুই ধারে দুটি ডিম্ববাহী নালী থাকে। সেই নালী দুটির কিছুটা অংশ বেঁধে কেটে দেয়াকে লাইগেশন বলে।
কার্যপদ্ধতি :
ডিম্বাশয় থেকে ডিম্ব বের হয়ে শুক্রানুর সাথে মিলিত হতে পারেনা। ফলে গর্ভ সঞ্চার হয় না।
সুবিধা :
অনিচ্ছাকৃত গর্ভধারণের ভয় না থাকায় সহবাসে আনন্দ বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। তেমন কোন পাশ্ব-প্রতিক্রিয়া নেই। আর কোন পদ্ধতি গ্রহণের ঝামেলা থাকেনা। গর্ভবতী হলে মৃত্যু ঝুঁকি আছে এমন নারীর জন্য খুবই প্রযোজ্য। আর সন্তান না চাইলে এই অপারেশন খুবই ভাল
অসুবিধা :
যেহেতু স্থায়ী পদ্ধতি পরবর্তীতে সন্তান ধারন করতে চাইলেও তা সম্ভবনয়। অপারেশনের পর একরাত হাসপাতাল অথবা ক্লিনিকে থাকতে হয়।
কার্যকরীতা :
স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রন পদ্ধতি। প্রায় ১০০% ভাগ কার্যকরী।
পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি সেবা প্রাপ্তির জন্য যোগাযোগ :
- পরিবার পরিকল্পনা কর্মী
- স্বাস্থ্যকর্মী
- স্যাটেলাইট ক্লিনিক
- ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্র
- মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্র
- উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
- জেলা হাসপাতাল
- বেসরকারী ক্লিনিক