WELCOME TO EMS ALL INFORMATION BD
বাঁচতে হলে জানতে হবে। তাই পড়ুন আর জেনে নিন নানা অজানা তথ্য




 

Unknown Unknown Author
Title: উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের কৌশলগুলো
Author: Unknown
Rating 5 of 5 Des:
ব্যস্ত নাগরিক জীবনের টানাপোড়ন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ও পরিবেশে হঠাৎ করে উচ্চ রক্তচাপের “অ্যাটাক” হতেই পারে। এর প্রচুর কারণ যেমন আছে,...

ব্যস্ত নাগরিক জীবনের টানাপোড়ন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ও পরিবেশে হঠাৎ করে উচ্চ রক্তচাপের “অ্যাটাক” হতেই পারে। এর প্রচুর কারণ যেমন আছে,তেমনি অনেক সময় ডাক্তাররাও এর নির্দিষ্ট কোন কারণ খুঁজেও পান না । তবে এরকম অ্যাটাক শতকরা ১০% কিডনির সমস্যা বা অন্য কোন কারনে হয় বলে দেখা গেছে।
এই অজানা বিষয়টি মেডিকেল পরীক্ষার ফলাফলেও অনেক সময় ধরা পড়েনা। সাধারণত মেডিকেল পরীক্ষাতে সুস্পষ্ট ভাবে কোন ব্যক্তির উচ্চ রক্তচাপের কারন গুলো ধরা পড়বে বলেই আশা করা হয়। কিন্তু প্রায়ই এর কারন রুগি ও ডাক্তার দুইজনের কাছেই অজানা থাকে।
সবমিলিয়ে হাইপারটেনসন এর সঠিক চিকিৎসা জটিল, নিয়মিত এবং সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তবে এমন অবস্থায় ডাক্তাররা চেষ্টা করেন রোগীর ব্লাডপ্রেসার কন্ট্রোলে রাখতে। উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনকে “সাইলেন্ট কিলার” বলা হয়। তাই কোন অবস্থাতেই একে হেলাফেলা করা ঠিক নয়। চিকিৎসার শুরু থেকেই এসব রোগীর নিয়মিতভাবে রক্তের বিভিন্ন রকমের মেডিকেল পরীক্ষা ও চেকআপ করাতে হবে। বছরে অন্তত একবার রক্তের ল্যাব পরীক্ষা করা ভীষণ জরুরি। এগুলো একজন হাইপারটেনশনের রোগীর সুস্থ আর নিরাপদ থাকার অন্যতম শর্ত। চিকিৎসা মতে এটা রোগীকে সুস্থ রাখতে ও তার জীবন বাঁচাতে অপরিহার্য।
অন্যদিকে প্রকৃত কারণ নিশ্চিত না করে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ দেয়া সম্ভব হয় না। রক্ত পরীক্ষার ফলে নির্দিষ্ট রোগীর জন্য নির্দিষ্ট ওষুধ বাছাই করা সম্ভব হয়। তাই রোগীর শরীরের উচ্চ রক্তচাপের কারন গুলো ধরা না পড়া পর্যন্ত টেস্টগুলো নিয়মমাফিক করতে হবে। এটা সাময়িক ভাবে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ফলে ডাক্তার রোগীর জন্য সঠিক মেডিসিন ও উপযুক্ত থেরাপি বাছাইয়ের সময় পান।
উচ্চ রক্তচাপ সাধারনত ব্যক্তির খাদ্যাভাস,বাড়তি ওজন, এবং জীবন যাপন পদ্ধতির উপর নির্ভর করে। তাই এসব বিষয়ের যথাযথ ও নিয়মিত সঠিক পরিচর্যা আর অভ্যাস গড়ে তুলে উচ্চ রক্তচাপকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। অনেক সময় রোগীর ওষুধ সেবনেরও দরকার পড়ে না।
উদাহরণ হিসাবে, প্রতিদিনের খাবার থেকে সোডিয়াম লবনকে বাদ দিন। সোডিয়াম উচ্চ রক্তচাপের জন্য ভীষণ বিপজ্জনক। বেশীরভাগ ফাস্টফুডে বা যে সব খাবারে প্রিজারভেটিভ দেয়া থাকে তাতে সোডিয়ামের মাত্রা অনেক বেশি থাকে। তাই সবার প্রথমে এসব খাবারকে খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিন। বেছে নিন প্রাকৃতিক, দেহের জন্য উপকারি খাবারগুলোকে। শুধু মাত্র এই একটি স্মার্ট কৌশলই দেখবেন আপনাকে কতটা সফল করে তোলে।
হাল্কা ব্যায়াম হতে পারে আপনার উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনের আরেকটি চমত্কার কৌশল। সঠিক খাদ্যাভাস আর নিয়মিত ব্যায়াম একসঙ্গে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করবে,যা আপনাতেই উচ্চ রক্তচাপের সম্ভাবনা কমিয়ে আনে।
উচ্চ রক্তচাপ আপনার অজান্তেই হৃৎপিণ্ড’র রক্ত চলাচলের স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকেও বাধাগ্রস্ত করতে পারে। ফলে স্ট্রোকের সম্ভাবনাও অনেক গুন বেড়ে যায় । তাই ডাক্তারের পাশাপাশি আপনি ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতিও চেষ্টা করে দেখুন। প্রতিদিনের কিছু বাজে অভ্যাস যেমন ধূমপান ছেড়ে দিন। ওজন নিয়ন্ত্রনে নিয়মিত ব্যায়াম এবং খাদ্যভ্যাসে সামান্য পরিবর্তন আনুন।
ইদানিংএই ঘরোয়া চিকিত্সার ধারনা দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এটা শরীরে দ্রুত এবং নিরাপদ ভাবে কাজ করে। তবে আপনি যদি স্ব চিকিত্সা করতেই চান, তাহলে প্রথমে একজন স্বাস্থ্য সেবাপ্রদানকারী সাথে কথা বলে নিন। যা করবেন, অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ মেনেই।

Advertisement

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মতামত আমাদের কাছে অনেক মুল্যবান,তাই মুল্যবান মতামত আমাদের কে জানান

 
Top