প্রাণী-মাত্রই বংশবিস্তারের ক্ষমতা রাখে। নারী নিজের দেহে ধারণ করে নতুন প্রাণের বীজ। ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে তার নিজের প্রতিরূপ। রক্ষা হয় বংশধারা। দেহে নতুন প্রাণের সঞ্চারের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নানা রকম জটিল পরিবর্তনের মাধ্যমে এক সময় শেষ হয় গর্ভস্থ শিশুর যাবতীয় গাঠনিক ও শারীরবৃত্তিক প্রক্রিয়া। জন্ম নেয় নতুন প্রাণ। কিন্তু প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সাধারণ ধারণাও থাকে না অনেকের। মায়ের স্বাস্থ্য, চাহিদা মাফিক পুষ্টি, মানসিক সুস্থতা, যথাযথ পরিবেশ মাতৃজঠরে বেড়ে ওঠা ভ্রণের বৃদ্ধি ও বিকাশের ওপর দারুণ প্রভাব ফেলে। তাই সুস্থ-সবল শিশুর জন্ম নিশ্চিত করতে হলে গর্ভধারিণীর শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা জরুরি। এজন্য চাই গর্ভধারণের প্রস্তুতি। তবে এ প্রস্তুতি শুধু নারীর একার নয়, তার স্বামী এবং পরিবারেরও। গর্ভধারণ-পূর্ব পরামর্শ তাই অনেক বেশি প্রয়োজনীয়। গর্ভধারণ-পূর্ব পরামর্শ এদেশে উপেক্ষিত একটি বিষয়। তবে আশার কথা হচ্ছে ধীরে ধীরে অনেক দম্পতি এ বিষয়টিতে আগ্রহী হচ্ছেন।
মায়ের বয়স, ওজন-উচ্চতা, পুষ্টি, রক্তের গ্রপ, রক্তস্বল্পতা, গর্ভধারণ জনিত ভয়, কোনও ধরনের অসুস্থতা, টিকা, পূর্ববর্তী গর্ভাবস্থায় কোনও জটিলতা, মায়ের কোনও ধরনের আসক্তি, শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর মানসিকতা ও প্রস্তুতি ইত্যাকার বিষয় নিয়ে চিকিৎসকের সাথে আলোচনা ও পরামর্শই এর উদ্দেশ্য।
গর্ভধারণের উপযুক্ত বয়স
মায়ের বয়স গর্ভধারণের উপযুক্ত কিনা তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয়। উপযুক্ত বয়সে গর্ভধারণ না করলে মা ও শিশুর গর্ভকালীন সময়ে বা প্রসবের সময়ে নানা রকমের জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। তাত্ত্বিকভাবে একজন নারী বয়ঃসন্ধি থেকে রজঃনিবৃত্তিকালের আগ পর্যন্ত প্রজননক্ষম হলেও কিশোরী এবং ৩০ বছরের পর প্রথম গর্ভধারণ মা এবং শিশু দুজনকেই ঝুঁকিতে ফেলে। আমাদের দেশে প্রজনন ক্ষম নারীর বয়স ১৫ থেকে ৪৫ বছর। তবে ১৮ থেকে ৩০ বছর হলও গর্ভধারণের উপযুক্ত সময়। এই বয়সের আগে প্রজনন অঙ্গ গর্ভধারণের জন্য সঠিক পূর্ণতা পায় না আর বেশি বয়সে গর্ভধারণ করলে শিশুর ডাউন সিনড্রোমসহ আরও কিছু জেনেটিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
মায়ের বয়স গর্ভধারণের উপযুক্ত কিনা তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয়। উপযুক্ত বয়সে গর্ভধারণ না করলে মা ও শিশুর গর্ভকালীন সময়ে বা প্রসবের সময়ে নানা রকমের জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। তাত্ত্বিকভাবে একজন নারী বয়ঃসন্ধি থেকে রজঃনিবৃত্তিকালের আগ পর্যন্ত প্রজননক্ষম হলেও কিশোরী এবং ৩০ বছরের পর প্রথম গর্ভধারণ মা এবং শিশু দুজনকেই ঝুঁকিতে ফেলে। আমাদের দেশে প্রজনন ক্ষম নারীর বয়স ১৫ থেকে ৪৫ বছর। তবে ১৮ থেকে ৩০ বছর হলও গর্ভধারণের উপযুক্ত সময়। এই বয়সের আগে প্রজনন অঙ্গ গর্ভধারণের জন্য সঠিক পূর্ণতা পায় না আর বেশি বয়সে গর্ভধারণ করলে শিশুর ডাউন সিনড্রোমসহ আরও কিছু জেনেটিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
গর্ভবতীর ওজন, উচ্চতা
মায়ের ওজন ও উচ্চতাও গর্ভকাল এবং শিশুর জন্মের ওপর প্রভাব ফেলে। মায়ের ওজন পুষ্টির সাথে সম্পর্কিত। বয়স ও উচ্চতার সাথে ওজন সামঞ্জস্যপূর্ণ না হলে গর্ভধারণ বিপদ ডেকে আনতে পারে। কম ওজনের মা একজন সুস্থ শিশুর জন্ম দিতে পারে না। আবার অতিরিক্ত ওজনও গর্ভকালীন সময়ে এবং প্রসবের সময় জটিলতার সৃষ্টি করতে পারে। Body Mass Index (BMI) থেকে মা স্বাভাবিক ওজনের না কম ওজনের কিংবা মা ওজনাধিক্যে না স্থূলতায় ভুগছেন তা বোঝা যায়। কম ওজনের ক্ষেত্রে পুষ্টিকর খাবারের উপদেশ দিয়ে স্বাভাবিক ওজনে পৌঁছার পরামর্শ দেয়া হয়। আর যারা ওজনাধিক্য বা স্থূলতায় ভুগছেন তাদের ওজন কমানোর পরামর্শ দেয়া হয়। যাদের BMI ১৮ থেকে ২৫-এর মধ্যে তারা স্বাভাবিক, ২৬ থেকে ২৯ পর্যন্ত যাদের BMI তারা ওজনাধিক্যে ভুগছেন আর ৩০-এর ঊর্ধ্বে যাদের BMI তারা স্থূল। মায়ের উচ্চতা ৫ ফুটের কম হলে স্বাভাবিক প্রসব সম্ভব নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে সিজারিয়ানের মাধ্যমে প্রসবের সম্ভাবনা আগে থেকেই বিবেচনায় রাখতে হয়।
মায়ের ওজন ও উচ্চতাও গর্ভকাল এবং শিশুর জন্মের ওপর প্রভাব ফেলে। মায়ের ওজন পুষ্টির সাথে সম্পর্কিত। বয়স ও উচ্চতার সাথে ওজন সামঞ্জস্যপূর্ণ না হলে গর্ভধারণ বিপদ ডেকে আনতে পারে। কম ওজনের মা একজন সুস্থ শিশুর জন্ম দিতে পারে না। আবার অতিরিক্ত ওজনও গর্ভকালীন সময়ে এবং প্রসবের সময় জটিলতার সৃষ্টি করতে পারে। Body Mass Index (BMI) থেকে মা স্বাভাবিক ওজনের না কম ওজনের কিংবা মা ওজনাধিক্যে না স্থূলতায় ভুগছেন তা বোঝা যায়। কম ওজনের ক্ষেত্রে পুষ্টিকর খাবারের উপদেশ দিয়ে স্বাভাবিক ওজনে পৌঁছার পরামর্শ দেয়া হয়। আর যারা ওজনাধিক্য বা স্থূলতায় ভুগছেন তাদের ওজন কমানোর পরামর্শ দেয়া হয়। যাদের BMI ১৮ থেকে ২৫-এর মধ্যে তারা স্বাভাবিক, ২৬ থেকে ২৯ পর্যন্ত যাদের BMI তারা ওজনাধিক্যে ভুগছেন আর ৩০-এর ঊর্ধ্বে যাদের BMI তারা স্থূল। মায়ের উচ্চতা ৫ ফুটের কম হলে স্বাভাবিক প্রসব সম্ভব নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে সিজারিয়ানের মাধ্যমে প্রসবের সম্ভাবনা আগে থেকেই বিবেচনায় রাখতে হয়।
সাধারণভাবে ওজনাধিক্য ও স্থূলতা একই অর্থে ব্যবহৃত হলেও সমার্থক নয়। বিজ্ঞানের ভাষায় স্থূলতা হচ্ছে শরীরের মেদ বা চর্বির পরিমাণ। মানুষের বয়স ও উচ্চতার ওপর নির্ভর করে তার ওজন। কিন্তু স্থূলতার পরিমাপক হিসেবে Body Mass Index হল আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতি। এখানে ব্যক্তি বিশেষের ওজন ও উচ্চতার বর্গের অনুপাতকে ইগও হিসেবে দেখানো হয়। BMI নির্ণয় করার সূত্র হল:
ওজন (কেজিতে)
উচ্চতার (মিটার) বর্গ
উচ্চতার (মিটার) বর্গ
স্থূলতার শ্রেণি বিভাগ:
বিএমআই শ্রেণি বিভাগ
১৮.৫—২৪.৯ স্বাভাবিক
২৫.০—২৯.৯ ওজনাধিক্য
> ৩০.০ স্থূলতা
৩০.০—৩৪.৯ ১ম শ্রেণির স্থূলতা
৩৫—৩৯.৯ ২য় শ্রেণির স্থূলতা
> ৪০ ৩য় শ্রেণির স্থূলতা
১৮.৫—২৪.৯ স্বাভাবিক
২৫.০—২৯.৯ ওজনাধিক্য
> ৩০.০ স্থূলতা
৩০.০—৩৪.৯ ১ম শ্রেণির স্থূলতা
৩৫—৩৯.৯ ২য় শ্রেণির স্থূলতা
> ৪০ ৩য় শ্রেণির স্থূলতা
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মতামত আমাদের কাছে অনেক মুল্যবান,তাই মুল্যবান মতামত আমাদের কে জানান