সুরক্ষা
নবজাতকের নাভীর যত্ন
আগে নবজাতকের নাভীর যত্নে অ্যান্টিসেপটিক পাউডার বা অ্যালকোহলে ভিজানো তুলা ব্যবহার করা হত। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষনায় বলা হয়েছে নাভী যত শুস্ক রাখা যাবে তত ইনফেকশন কম হবে।
২. এসেনসিয়াল ফ্যাটি এসিড:
৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে নাভী পড়ে যায় এর আগ পর্যন্ত নবজাতকের শরীর পরিস্কার নরম কাপড় দিয়ে মুছে দিতে হবে। নাভী না শুকানোর আগ পর্যন্ত গামলায় বা বাথটাবে গোসল করানো যাবে না।
বিশুদ্ধ পানি দিয়ে নাভী পরিস্কার করতে হবে এবং নরম কাপড় দিয়ে সাথে সাথে মুছে দিতে হবে যাতে কোন অবস্থায় ভেজা না থাকে।প্রতিদিন পরিস্কার করতে হবে যাতে ইনফেকশন না হয়
নাড়ী পড়ে না যাওয়ার আগ পর্যন্ত বাচ্চাকে ঢিলেঢালা পোশাক পরান এবং ডায়াপার পরানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন ডায়াপার যেন নাভীকে ঢেকে না রাখে।
বাচ্চারা ২ বছরের আগ পর্যন্ত পটি ট্রেনিং এ অভ্যস্ত হয় না । তাই এই সময়ে ডায়াপার ব্যবহার করা প্রয়োজন।ডায়াপার শিশুর তলদেশের ত্বক শুষ্ক ও রোগমুক্ত রাখে।
শিশুর সুরক্ষায় ডায়াপার-পরিস্কারের জন্য যা যা লাগবে
১. পরিস্কার ডায়াপার
২. বেবী ওয়াইপ্স বা নরম পরিস্কার কাপড়
৩. হালকা গরম পানি
৪. ন্যাপি র্যাশ ক্রীম
মেয়ে শিশু পরিস্কারের ক্ষেত্রে:
মেয়ে শিশুর ক্ষেত্রে সবসময় সামনে থেকে পেছন দিকে পরিস্কার করতে হবে।এতে করে ব্যাকটেরিয়ার প্রজনন অঙ্গে ছড়াতে পারে না।বেবী ওয়াইপ্স বা নরম পরিস্কার কাপড় দিয়ে হালকা ভাবে মুছতে হবে।
ছেলে শিশু পরিস্কারের ক্ষেত্রে:
যখন পরিস্কারের জন্য ডায়াপার খুলবেন তখন একটি পরিস্কার ডায়াপার পুরুষ প্রজনন অঙ্গের উপর রাখুন বা পুরুষ প্রজনন অঙ্গটি নিচে নামিয়ে দিন যাতে শিশু প্রস্রাব না করে।সামনে থেকে পেছন দিকে পরিস্কার করতে হবে।
ডায়াপার পরিবর্তনের সময় করণীয়:
১. সবসময় শিশুকে পরিস্কার ও সমান জায়গায় রেখে ডায়াপার পরিবর্তন করতে হবে।
২. শিশুকে কখনও একা ছেড়ে যাবেন না। এতে করে গড়িয়ে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
৩. প্রয়োজনীয় সবকিছু হাতে কাছে নিয়ে ডায়াপার পরিবর্তন করুন।ডায়াপার পরিবর্তনের সময় শিশুর তলদেশেকে কিছুক্ষনের জন্য খোলা বাতাসে রেখে দিন।
৪. অবশ্যই শিশুর শরীরের ভাজঁগুলো ভালভাবে পরিস্কার করে ভালভাবে শুকনো টাওয়েল বা কাপড় দিয়ে মুছে নিতে হবে।
৫. পরিস্কার ডায়াপারটি খুলুন এবং তারপর ধীরে আপনার শিশুকে তার পা ধরে একটু উঠিয়ে ডায়াপারটি তার নিচে রাখুন। ডায়াপার পরানোর আগে ক্রীম লাগিয়ে নিন।শিশুর ত্বক যদি সেনসিটিভ হয় তাহলে প্রতিবার পরিবর্তনের সময় ক্রীম লাগিয়ে নিতে পারেন। এতে করে ত্বকে র্যাশ হবার সম্ভাবনা কমে যাবে।জিংক অক্সাইড সমৃদ্ধ ক্রীম ব্যবহার করতে পারেন। স্টেরয়েড (করটিসন ও হাইড্রোকরটিসন)সমৃদ্ধ ক্রীম ব্যবহার করা উচিত নয়।
৬. ক্রীমের পরিবর্তে বেবী পাউডার ব্যবহার করা উচিত নয়।এতে করে বাচ্চার ফুসফুসে পাউডার প্রবেশ করে অস্বস্তি বা শ্বাসকষ্ট তৈরী করতে পারে।এছাড়া ডায়াপার র্যাশকে আরোও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
৭. পরিস্কারের জন্য সুগন্ধি ও অ্যালকোহল মুক্ত বেবী ওয়াইপ্স ব্যবহার করুন।
৮. মল ত্যাগের পর দ্রুত ডায়াপার পরিবর্তন করতে হবে। কারণ মলে প্রচুর ব্যাকটেরিয়া থাকে যা ত্বকে র্যাশ তৈরী করতে পারে।
৯. ডায়াপার পরিবর্তনের পর হাত ভালভাবে ধুয়ে নিন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মতামত আমাদের কাছে অনেক মুল্যবান,তাই মুল্যবান মতামত আমাদের কে জানান