WELCOME TO EMS ALL INFORMATION BD
বাঁচতে হলে জানতে হবে। তাই পড়ুন আর জেনে নিন নানা অজানা তথ্য




 

Unknown Unknown Author
Title: মিসক্যারেজ
Author: Unknown
Rating 5 of 5 Des:
মিসক্যারেজ ঝড়ের পর রংধনু একটি নতুন স্বপ্ন ও আশা নিয়ে আসে। অনেক দম্পতির কাছে মিসক্যারেজ একটি দু:স্বপ্নের মত এবং অনেকেই এই দু:স্বপ্ন...

মিসক্যারেজ
ঝড়ের পর রংধনু একটি নতুন স্বপ্ন ও আশা নিয়ে আসে। অনেক দম্পতির কাছে মিসক্যারেজ একটি দু:স্বপ্নের মত এবং অনেকেই এই দু:স্বপ্ন পেরিয়ে একটি নতুন স্বপ্নের সূচনা করতে পারেন। অনেকেই মিসক্যারেজর পর গর্ভধারণ নিয়ে চিন্তিত থাকেন এবং ঝূঁকিপূর্ণ মনে করেন। এই ক্ষেত্রে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। পুনরায় গর্ভধারণের পূর্বে কিছু বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখুন:
১. ফলিক এসিড গ্রহন করুন। এটি একটি ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট। গর্ভধারণের ৩ মাস আগে থেকেই এটি খাওয়া শুরু করতে পারেন। এটি বাচ্চার জন্মগত ত্রুটি হওয়ার প্রবণতাকে কমিয়ে দেয় এবং মিসক্যারেজর হওয়ার ঝুঁকিও অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। ফলিক এসিড, ভিটামিন ই, আয়রন ও ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহন করতে পারেন।
২. স্বাস্থ্যকর খাবার সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে । সুস্বাস্থ্য আপনার গর্ভধারণের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দেয়। ব্রিটিশ গবেষনায় দেখা গেছে যে তাজা ফল ও সবজি মিসক্যারেজের হার ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনে। নিয়মিত হালকা ব্যায়ামও স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। এছাড়া ধূমপান, অ্যালকোহল, ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় যেমন চা, কফি বা চকলেট এবং মানসিক চাপের সাথে মিসক্যারেজর সর্ম্পক রয়েছে। তাই এগুলো এড়িয়ে চলা উচিত।
৩. মিসক্যারেজর পর গর্ভধারণের সঠিক সময় কখন? আসলে এই ক্ষেত্রে কোন সঠিক সময় নেই। অনেকেই আছেন যারা খুব দ্রুত আর একটি বাচ্চা নিয়ে নেন আবার অনেকেই সময় নেন। অধিকাংশ ডাক্তার এক থেকে তিনটি পূর্ণ মাসিক চক্র শেষ হবার পর গর্ভধারণের জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এতে করে আপনার শরীর আবার পুনরায় আগের অবস্থায় ফিরে আসার সময় পাবে এবং মানসিকভাবেও প্রস্তুতি নিতে পারবেন। সম্প্রতি কিছু গবেষনায় দেখা গেছে যে,মিসক্যারেজর পর যারা ছয় মাস বা এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ করেছেন তাদের চেয়ে যারা আরোও দেরীতে গর্ভধারণ করেছেন তাদের ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থা কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল।
৪. মাসিক চক্রের দিকে লক্ষ্য রাখুন। এটি কখন শুরু হয়, কতদিন স্থায়ী হয় এবং অস্বাভাবিক কোনো লক্ষন আছে কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।
৫. একজন দক্ষ গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তরের কাছ থেকে পরামর্শ নিন যিনি আপনার কথা মন দিয়ে শুনবেন এবং আপনার পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করবেন।
৬. পুনরায় গর্ভধারণের পূর্বে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নিন এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিন।মিসক্যারেজর কারণ জানতে চেষ্টা করুন। পরবর্তীতে যাতে একই কারণের পূনরাবৃত্তি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।


Advertisement

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মতামত আমাদের কাছে অনেক মুল্যবান,তাই মুল্যবান মতামত আমাদের কে জানান

 
Top